সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, নোয়াখালী
অপরিষ্কার রাস্তা, রক্তদান, বৃদ্ধাশ্রম ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ইস্যু নিয়ে বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন কাজ করতেন তৃষা। কিন্তু এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো তা হলো, তারা কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাজ করছেন বা কোথা থেকে এসেছেন। মূলত এ প্রশ্নের উত্তর দিতেই ২০১৬ সালের জুলাইতে তৃষা প্রতিষ্ঠা করেন নিজের সোশিও ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘WORKS FOR HUMANITY FOUNDATION’। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সচেতনতা ও মানসিক বিকাশ- এই ৪টি বিষয় নিয়ে মূলত কাজ করেন তৃষা ও তার প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের লাইব্রেরি করে দেয়া থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত দেশের প্রায় ৬০-৭০ হাজার শিশুদের বিনামূল্যে খাতা-কলম প্রদান করেছেন। এই উদ্যোগের আগে তার নিজের বলার মতো আলাদা কোনো পরিচয় না থাকায় সবাই তাকে তার বাবার পরিচয়েই চিনতো। কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠান এতদূর আনতে পারার সাফল্যে সবাই এখন এক নামে তাকে তৃষা হিসেবেই চেনে।